SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ - NCTB BOOK
Please, contribute to add content into জীবিকা ও কর্মজগৎ (World of Work) সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা.
Content

পেশা যা একজন ব্যক্তি জীবিকা অর্জন করে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে পেশা আর জীবিকা সমার্থকরূপে ব্যবহার করা হয়, তবে এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি জীবিকা হলো মূলত ব্যক্তি জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং কর্মসংস্থান ও অভিজ্ঞতার সম্মিলিত রূপরেখার প্রতিফলন। জীবিকার্জনের জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরণের পেশা গ্রহণ করে থাকে । অন্যদিকে পেশা বা বৃত্তি হলো একটি নির্দিষ্ট সাধারণ কাজের নাম । যেমন চিকিৎসক, স্থপতি, ধাত্রী ইত্যাদি । এরা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে । তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভিন্ন ভিন্ন । এজন্য তাদের ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা, দক্ষতা আর জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। চাকরি হলো একটি নির্দিষ্ট পেশার অন্তর্গত বিশেষ একটি পদ বা অবস্থা। যেমন কোনো সংস্থার প্রধান স্থপতি ।

নিজের অবস্থানের উন্নতির জন্য উত্তরোত্তর প্রশিক্ষণ, ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রচেষ্টা, মানিয়ে চলা, খাপ খাওয়ানো প্রভৃতি ধাপ সফলতার সাথে পেরিয়ে 'পেশা' ও 'জীবিকা’র উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয় ।

সময় গতিশীল। সময়ের এই গতিময়তার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজ, পরিবর্তিত হয় আমাদের চারপাশ, কাজের পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট। আমাদের দেশের কর্মক্ষেত্রেও এসেছে অনেক পরিবর্তন । আজ থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেও আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের পেশা ছিল কৃষিকাজ কিংবা কৃষিভিত্তিক শিল্পে শ্রম দেওয়া। আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য। আজকের দিনে আমাদেরকে এরূপ পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যের সাথে খাপ খাওয়াতে পারলে 'পেশা' ও 'জীবিকা' উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হবে ।

Content added By

জীবিকার্জনের জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরণের পেশা গ্রহণ করে থাকে । সে দৃষ্টিকোণ থেকে পেশাকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায । যেমন :

১। মজুরি ও বেতনভিত্তিক চাকরি 

২। আত্মকর্মসংস্থান 

৩ । ব্যবসায় বা শিল্পোদ্যোগ

নিম্নে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১। মজুরি ও বেতনভিত্তিক পেশা : কোন প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট মজুরি বা বেতন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদির বিনিময়ে চাকরি গ্রহণ করা হলে তাকে মজুরি ও বেতনভিত্তিক কর্মসংস্থান বলে । বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন পর্যায়ে বহুসংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন। ফলে চাকরি কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাজের নিরাপত্তা, নিয়মিত আয় প্রবাহ, পদোন্নতি ও আনুষঙ্গিক সুবিধার জন্য কর্মসংস্থান হিসেবে চাকরি মানুষের কাছে আকর্ষণীয়। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে শিল্প ও ব্যবসা/বাণিজ্যের প্রসার না হওয়ায় বেতন ও মজুরিভিত্তিক চাকরি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার তেমন আশাব্যঞ্জক নয় । তাছাড়া দেশের সকল মানুষের জন্য বেতন ও মজুরিভিত্তিক চাকরি কর্মসংস্থান সম্ভবও নয়।

২। আত্মকর্মসংস্থান : নিজে উদ্যোগী হয়ে নিজের কাজের ব্যবস্থা করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে । কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে চাকরি না করে স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার বলে সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একজন ইলেকট্রিশিয়ান ইলেকট্রিক্যালের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলে তাকে আত্মকর্মসংস্থান পেশা হিসেবে গণ্য করা যায় ।

তাছাড়া আমাদের দেশে সরকার কর্তৃক ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ৬৬ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে । এ সমস্ত যুব উন্নয়ন ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বেসিক ট্রেড কোর্স ও কুটির শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়া বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা (NGO) গ্রামের ছেলে-মেয়েদের নানাবিধ কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। যেমন-হস্ত শিল্প, মৃৎ শিল্প, কাঠের কাজ, মেরামত কাজ, হাঁস মুরগি পালন, মাছের চাষ, শাক-সবজি চাষ, ফুলের চাষ, পোশাক তৈরি ইত্যাদি । এসব কাজে বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না । এজন্য প্রয়োজন সামান্য প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগী মনোভাব ।

৩। ব্যবসা বা শিল্পোদ্যোগ : কর্মসংস্থানের উৎস হিসেবে ব্যবসা বা শিল্পোদ্যোগের গুরুত্ব পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই স্বীকৃত । আমাদের দেশে ব্যবসার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের অসীম সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব । নিজ উদ্যোগে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করাকেই পেশা বলে আখ্যায়িত করা হয় । মালিক নিজেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করেন ।

Content added By

অঞ্চলভিত্তিক/ঐতিহ্যগত পেশা হলো এমন এক ধরনের পেশা যা কোনো অঞ্চলের সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় গ্রহণ করে থাকে । এটি কখনও তাদের বংশ পরম্পরায় চলে আসে বলে তা ঐতিহ্যগত পেশা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে, যা উন্নয়ন ও উৎপাদনে সমান গুরুত্ব বহণ করে। চাঁপাইনবাব গঞ্জের কাঁথা শিল্প, বগুড়া ও যশোর অঞ্চলের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরীর কুটির শিল্প প্রভৃতি।

Content added By

বাংলাদেশে সৃজনশীল ও কারিগরি দক্ষতানির্ভর পেশাসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশে রয়েছে বেশ কিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান । শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে ।

পোশাকশিল্প

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্বখ্যাত। এদেশের তৈরি পোশাকের যেমন বিশ্বব্যাপী কদর আছে, তেমনি আছে পোশাক তৈরির বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুতকারী শিল্পের। আমাদের দেশে আশির দশক থেকে রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে তৈরি পোশাকশিল্পের উন্নয়ন ঘটতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজারও দ্রুত সম্প্রসারিত হতে থাকে। এ শিল্পের মাধ্যমে শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত ব্যক্তির কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েরা এ শিল্পে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু বর্তমানে সুযোগ- সুবিধা এবং বেতন উপযুক্ত হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষিত তরুণ পোশাকশিল্পে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছেন । দেশের ক্রমবিকাশমান এ শিল্পে যে শিক্ষিত ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তা নয় । অর্ধশিক্ষিত এবং দেশের পিছিয়ে পড়া অনেক বেকার যুবক-যুবতী তাদের শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন ।

গার্মেন্টস শিল্পে মার্চেন্ডাইজার, ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ফ্যাশন ডিজাইনার, প্রডাক্টশন কর্মকর্তা, বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ইত্যাদি পদে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। এ পদগুলো ছাড়াও আরও কিছু পদ রয়েছে সেখানেও কাজ করার প্রচুর সুযোগ আছে যেমন- ফিনিশিং, ইনচার্জ, কাটিং মাস্টার, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, ডাইং মেশিন অপারেটর, প্যাটার্ন মেকার ইত্যাদি। এসব পদে কাজ করে ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন সম্ভব । পোশাকশিল্পের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি। প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই এ সেক্টরে সাফল্য অর্জন করা যায় না। গার্মেন্টস সেক্টরে যেহেতু অনেক ভাগ আছে তাই কোন বিষয়ে ক্যারিয়ার শুরু করবে সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন ।

নৌযান ও নৌপরিবহন শিল্প

সমুদ্রগামী জাহাজ তৈরির কারিগর হওয়ার সুযোগ এখন আমাদের দ্বারপ্রান্তে । কারণ জাহাজশিল্পকে ঘিরে দেশে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশেও আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ রপ্তানি করছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে বাজার বাড়ায় দেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিনিয়ত দক্ষ জনবল খুঁজতে হচ্ছে। ফলে এ খাতে দিন দিন কাজের সুযোগ বাড়ছে । গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী একজন নেভাল আর্কিটেক্ট জাহাজের নকশা প্রণয়ন করেন। পুরো জাহাজের নকশাকে আবার কয়েকটি অংশে ভাগ করা হয়। এরপর শিপ বিল্ডিং প্রকৌশলী ডিজাইন অনুযায়ী জাহাজের ওয়েলডিং, ফিটারিং, প্রিন্টিং ও গুণগত যন্ত্রাংশের ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করেন । পুরো কাজটি করতে হয় নিখুঁত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ।

জাহাজশিল্পে শিপ বিল্ডিং প্রকৌশলীর পাশাপাশি সহকারী প্রকৌশলী, সুপারভাইজার ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করার সুযোগ আছে। বিদেশেও ভালো বেতনে এ পেশার ব্যাপক চাহিদা ও কাজের সুযোগ আছে। বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সরকারিভাবে পরিচালিত নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন শিপ বিল্ডিং টেকনোলজি ও দুই বছর মেয়াদি শিপ বিল্ডিং, শিপ ফেব্রিকশেন ও শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড মেকানিক্যাল ড্রাফটসম্যানশিপ কোর্স চালু রয়েছে ।

অটোমোবাইল শিল্প

মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন হচ্ছে গাড়ি । বিগত বছরগুলোতে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে গাড়ির ব্যবহার বহুলাংশে বেড়েছে। আগের তুলনায় বর্তমানে দেশে অনেক বেশি গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে। তোমরা জেনে আনন্দিত হবে যে বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক বাস, ট্রাক, অটোরিকশার শুধু চেসিস আমদানি করা হয়, এগুলো তৈরির কাজ এখানে সম্পন্ন হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব গাড়ি পরবর্তী সময়ে সার্ভিসিং বা মেরামতের জন্যই অটোমোবাইল কারিগরি শিল্পের বিকাশ লাভ করছে দ্রুতগতিতে। এ শিল্পের নানা ধরনের কাজে দক্ষ অটোমোবাইল প্রকৌশলী প্রয়োজন । তাই অটোমোবাইল শিল্পে যারা আগ্রহী তাদের দৃষ্টি এখন এদিকেই ।

অটোমোবাইল শিল্পের প্রধান কাজ হচ্ছে নতুন গাড়ি তৈরি এবং তা বিক্রয় ও পরবর্তী সার্ভিসিং এবং মেরামতসহ যাবতীয় কারিগরি কাজ। সাধারণত এই শিল্পে কাজের ধরণ বিবেচনায় তিনটি ভাগ রয়েছে । এগুলো হলো: উৎপাদন, সেল এবং সার্ভিসিং। উৎপাদন ক্ষেত্রে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন প্রকৌশলীরা এক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা দেখানোর ব্যাপক সুযোগ পান । সেলস বিভাগে গাড়ি বিপণন, বিক্রয় ও বিতরণের কাজ করা হয়ে থাকে । গ্রাহকের কাছে গাড়ি সম্পর্কে ভালো ধারণা প্রদান ও ইঞ্জিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা এই বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিসিং বলতে ওয়ারেন্টিযুক্ত বা সার্ভিস ফি দিয়ে গাড়ি মেরামত ও সার্ভিসিং করা হলো সার্ভিসিং বিভাগের প্রধান কাজ ।

Content added By

এলাকার শিল্প ও কর্মসংস্থানের সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিম্নরূপ উপাদানের আলোকে নির্ধারিত হয় । যেমন- 

১. যোগাযোগ ব্যবস্থা । 

২. গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা 

৩. কাঁচামালের আধিক্য 

৪. রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা 

৫. শ্রমিকের সহজলভ্যতা 

৬. বাজার ও অর্থনৈতিক সুব্যবস্থা 

৭. আবাসন সুব্যবস্থা প্রভৃতি

Content added || updated By

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশা চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই কারিগরি শিক্ষাই প্রথম বিবেচ্য বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । এক্ষেত্রে যে যে পেশাগুলো অগ্রগণ্য তা হলো-

১. ডাক্তার 

২. ইঞ্জিনিয়ার 

৩. টেকনিশিয়ান 

৪. নার্স 

৫. ড্রাইভার 

৬. দক্ষ শ্রমিক ইত্যাদি ।

Content added By

(TVET) মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ধারণা

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণের (TVET) মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ধারণা সাধারণ মানুষের কাছে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে দেশকে খুব সহজেই এগিয়ে নেওয়া সহজ হয় ।

বর্তমানে বাংলাদেশ ২৩টি মন্ত্রনালয় এবং প্রায় ৩২টি বিভাগ বিভিন্ন পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে । বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা- প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী প্রায় সাত সহস্রাধিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১১ লক্ষ শিক্ষার্থী ও যুবক যুবতীকে পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১. পেশা কী? 

২. জীবিকা বলতে কী বোঝায় ? 

৩. অঞ্চলভিত্তিক/ঐতিহ্যগত পেশা কাকে বলে? 

৪. কারিগরি ও বৃত্তিমূলক পেশা 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১. বাংলাদেশে পেশার শ্রেণিবিন্যাস কীভাবে করা যায়? 

২. অঞ্চলভিত্তিক/ঐতিহ্যগত পেশা, উৎপাদন ও উন্নয়ন ধারণা বিষয়ে যা জান লেখ । 

৩. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশা চিহ্নিতকরণের উপায় বিবৃত কর । 

রচনামূলক প্রশ্ন 

১. ‘পেশা' ও ‘জীবিকা' উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিবরণ দাও । 

২. বাংলাদেশে পেশার শ্রেণিবিন্যাস কর। 

৩. অঞ্চলভিত্তিক/ঐতিহ্যগত পেশা, উৎপাদন ও উন্নয়ন ধারণা সম্পর্কে যা জান লেখ ।

Content added By